ডিম একটি স্বল্প মূল্যের প্রতীক পুষ্টি সম্পন্ন খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে। ডিম অনেক রকমের হয়ে থাকে এর মধ্যে হাঁসের ডিম, মুরগির ডিম এছাড়াও পল্টি মুরগির ডিম বিখ্যাত। যে ধরনের ডিম হোক না কেন সব ডিমে অনেক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে। এখন এই ডিম নিয়ে কথা বলবো, যে ডিম খাওয়ার উপকারিতা কি সেটা নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব।
আসলে ডিম এমন একটি খাদ্য যে সব মানুষই এটি পছন্দ করেন। এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যে ডিম খেতে চায় না। ডিম খেতে যেমন সুস্বাদু এর গুণগত মান অনেক উচ্চ মাত্রায়। ডিমের ভিতর অনেক উপকারী পদার্থ উপাদান থাকে বলে ডিম শরীরের জন্য উপকারী। মানুষ যদি নিজেদের শরীরকে সতেজ এবং শক্তিশালী করতে চায় তাহলে প্রত্যেকদিন নিয়ম মেনে একটি করে হলেও ডিম খেতে দেওয়া উচিত।
আমরা অনেক সময় আমাদের শরীরে অনেক ধরনের অসুখ লক্ষ্য করে থাকি। আমরা অনেকেই জানি না এসব অসুখ হওয়ার কারণ কি। অশোক হওয়ার কারণ হচ্ছে আমাদের শরীরের চাহিদা মতো পুষ্টি উপাদান সরবরাহ না করতে পারা। শরীরের যদি সঠিকভাবে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ না করা হয় তাহলে তো শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ জন্ম নিবে। তাই শরীরের দিকে নজর দিতে হবে এবং অধিক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এর মধ্যে প্রধান খাবার হচ্ছে ডিম যা অনেক সহজলভ্য।
এবার আলোচনা করব ডিমের ভিতর থাকা উপাদান সম্পর্কে এবং ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
ডিম যেহেতু আমাদের শরীরের জন্য উপকারী, তাই সকলের জানা দরকার ডিমের মধ্যে কি কি উপাদান থাকে চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিমের মধ্যে যেসব উপাদান থাকে সেসব উপাদান সম্পর্কে কিছু তথ্য। ডিমের মধ্যে যেসব উপাদান থাকে সেগুলো হচ্ছে প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, আয়রন ভিটামিন ই, ফলেট, ভিটামিন বি ১২ এবং কোলেস্টেরল। এখন আমরা এসব উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করব এসব উপাদান আমাদের শরীরের জন্য কি কি উপকার করে সেগুলো জানবো এবং শিখব।
প্রোটিন
আমরা সকলেই জানি যে প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আমাদের শরীরের প্রায় প্রত্যেকটি কাজ করতেই প্রোটিনের চাহিদা অনেক বেশি। প্রোটিন আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে এর মধ্যে প্রোটিন এর প্রধান উপকার হচ্ছে শরীরের গঠন এবং ত্বক সুন্দর করা শরীরের ক্ষয়পূরণ এবং চুল বৃদ্ধি করা এবং চুল ওঠা রোধ করা।
এছাড়াও আরও অনেক উপকার করে থাকে আমাদের শরীরে প্রোটিন। আর এই প্রোটিন আমরা অধিক পরিমাণে পেয়ে থাকি ডিমের মধ্যে। সেদ্ধ ডিম হলে ভালো হয় কারণ সেদ্ধ ডিমের মধ্যে অনেক পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে, যার মধ্যে প্রধানত প্রোটিন অধিক পরিমাণে থাকে।
আয়রন
আমরা সকলেই জানি যে আয়রন আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে, রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য আমরা যেসব উপাদান খেয়ে থাকি সেগুলো আয়রনসমৃদ্ধ। আমরা অধিক পরিমাণে আয়রন পেয়ে থাকি ডিমের মধ্যে। বলা যায় যে ডিমের মধ্যে প্রায় সকল ধরনের উপাদান বিদ্যমান থাকে। এছাড়াও অন্যান্য ফল শাকসবজি আয়রন বিদ্যমান থাকে, যা আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে অধিক কার্যকরী।
ভিটামিন-এ
আমরা সবথেকে বেশি পরিচিত ভিটামিন এ এর সম্পর্কে। কারণ আমরা বিভিন্ন ধরনের উপাদান সস্তা উপাদানের মধ্যে ভিটামিন এ পেয়ে থাকি। এছাড়াও ডিমের মধ্যে ভিটামিন এ থাকে, ভিটামিন এ আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরী । যেমন চোখের জন্য জরুরী ভিটামিন এ, চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে ত্বক সুন্দর রাখে এবং রাতকানা রোগ সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা অনেকেই দেখেছি যে রাতকানা রোগের চিকিৎসা দেওয়ার সময় ডাক্তারেরা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য খেতে বলে, কারণ ভিটামিন এ রাতকানা রোগের জন্য খুবই উপকারী।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের দাঁত এবং হাড় মজবুত করতে অধিক কার্যকরী। কারণ আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি যখন হয় তখন দাতে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা যায় এবং হারের বন্ধনগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। ভিটামিন ডি খাওয়ার কারণে হার এবং দাঁতের বন্ধন শক্তি বৃদ্ধি পায়।
ভিটামিন ই
ভিটামিন ই আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। ভিটামিন ডি তে থাকা উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন ই চুল এর জন্য অধিক কার্যকরী, যখন চুল উঠতে থাকে তখন ভিটামিন ই এর ঘাটতি দেখা দেয়। এজন্য চুল ওঠার সাথে সাথেই ভিটামিন-ই ব্যবহার করতে হবে, এটি এখনো ঔষধ আকারেও পাওয়া যায়।
ডিমের ভিতর থাকা এসব উপাদান আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে, তাই প্রত্যেকটা মানুষকেই প্রত্যেকদিন একটি করে হলেও ডিম খাওয়া উচিত। ধন্যবাদ।
